বর্তমানে বাংলাদেশে পর্ণ সাইট নিয়ে আগের তুলনায় হঠাৎ করে আসক্তি যখন বেড়ে গেছে। আর ঠিক তখনই এক তরুণ একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করতে শুরু করতে লাগলেন এই নিষিদ্ধ সাইট গুলোর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত এই তরুণের পোস্টের উত্তাপ জনসমর্থণে পরিণত হতে শুরু করে, এরপর পৌঁছে যায় দেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
এদিকে এর পিছনে যিনি নীরবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছিলেন দেশের যুবসমাজকে। তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার শিশু গণমাধ্যম ‘এ আর কিডস মিডিয়ার’ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও কাজ করে যাচ্ছেন আরিফ রহমান শিবলী।
এদিকে পর্ণ সাইট শিশু-কিশোরদের মস্তিষ্ক কতটা বেপরোয়া করে তা তিনি যখন সিরিজ আকারে লিখতে থাকেন তিনি। আর এরই ধারাবাহিতকতায় ‘বন্ধ হয়নি এখনো পর্ণ সাইট’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে বেশকিছু জাতীয় সংবাদ মাধ্যম। সংবাদ প্রকাশের পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তখন কিছু পর্ণ সাইট তখন বন্ধ করতে সমর্থ হয়। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই পুনরায় সেই সব সাইড সচল হয় ওঠে।
এরপরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোস্তফা জব্বার। এবার সেই লাগামহীন ঘোড়া নামক পর্ণ সাইট বন্ধ করতে সোচ্চার হোন মন্ত্রী নিজেই। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে প্রায় ১৫০০টি পর্ণ ও জুয়ার সাইট। আরও বন্ধ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
এদিকে বাংলাদেশে পর্ণ সাইট বন্ধ করার ব্যাপারে আরিফ রহমান শিবলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আজ যখন সংবাদটি দেখলাম নতুন মন্ত্রী পর্ণ সাইট বন্ধে তৎপর অনেক আনন্দ লাগছে। যে শিশু কিশোরদের কন্ঠ সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি দীর্ঘদিন, তারাই যখন পর্ণ আসক্তিতে ডুবে পড়ে তখন খারাপ লাগবেই।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাইটগুলো বন্ধের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অলি-গলিতে থাকা মোবাইল, কম্পিউটারে গান, ভিডিও ঢুকানো দোকানদারদের দিকে নজর দিতে হবে। আর এ বিষয়ে মাননীয়মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নজর বাড়াতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরিফ শিবলী আরও বলেন, ‘মাদকের মত পর্ণ সাইট বন্ধের এই যুদ্ধেও দেশের সকল অভিভাবক, শিশু কিশোরসহ সবার সমর্থন থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’–জাগোঢাকা